মানসিক রোগ ও তার প্রকারভেদ
আমরা যদি আজকে থেকে দুই বা তিন দশক আগের কথা ভাবি তাহলে মানসিক রোগী বলতে বুঝাতো যারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো বদ্ধ উন্মাদ। যাদের রাখা হতো পাগলা গারদে। সময়ের সাথে বদল হয়েছে মানসিক রোগের প্রকৃতি। তবে একদম শুরু থেকেই মানসিক রোগকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমটা Psychotic Illness এবং neurotic Illness।
মানসিক রোগের প্রকারভেদ নিয়ে বলতে গেলে যেটা সবার আগে আসে insight. Insight means awareness of the illness। অর্থাৎ রোগী কি মনে করেন তিনি অসুস্থ নাকি তিনি মনে করেন তিনি সুস্থ এবং স্বাভাবিক । যেসকল রোগীর insight থাকে তাদের বলা হয় neurotic পেশেন্ট এবং যাদের insight থাকে না তাদের বলা হয় psychotic পেশেন্ট।
উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে একজন রোগী যিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন এবং মনে করেন তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ তিনি একজন neurotic রোগী, আবার একজন রোগী যিনি মনে করেন তার আশে পাশের বাড়ির সবাই তার ক্ষতি করতে চায় এবং মনে করেন যে তিনি ঠিক ভাবছেন যদিও তার বাড়ির লোক এই ব্যাপারে সহমত পোষণ করেন না তিনি হলেন একজন psychotic রোগী। সাধারণত neurotic রোগীরা ডাক্তারের কাছে নিজেরা আসতে চান এবং ওষুধ নিজে থেকে খান কিন্তু psychotic রোগীরা নিজেরা ডাক্তার দেখাতে চান না এবং ওষুধ খেতে চান না।
Neurotic Illness এর মধ্যে আসে ডিপ্রেশন বা হতাশা, অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগজনিত রোগ, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার বা শুচিবাই ।
Psychotic Illness এর মধ্যে আসে সিজোফ্রেনিয়া এবং ডলিউশনাল ডিজঅর্ডার।
Neurotic Illness
Depression
ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ এই রোগটির বৈশিষ্ট্য গুলো হল প্রধানত:
১) মন খারাপ বা মন ভালো না লাগা।
২) আত্মবিশ্বাস বা মনের জোরের অভাব।
৩) হঠাৎ হঠাৎ কান্না পাওয়া বা একা একা বসে থাকলে চোখে জল আসা।
৪) Engergy কমে যাওয়া।
৫) ঘুম হঠাৎ করে কমে বা বেড়ে যাওয়া।
৬) Irritable বা বিরক্তি ভাব বেড়ে যাওয়া।
Anxiety উদ্বেগজনিত রোগের বৈশিষ্ট্য গুলো হল প্রধানত:
১) অতিরিক্ত অযৌক্তিক চিন্তা।
২) শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা।
৩) অতিরিক্ত ক্লান্তি।
৪) ঘুম কমে যাওয়া।
৫) বুক ধড়ফড় করা, গলা শুকিয়ে যাওয়া বা হাত পা কাঁপা।
Obsessive compulsive disorder বা শুচিবাই লোকটির সাথে আমরা সকলেই অল্পবিস্তর পরিচিত। বারবার হাত ধোয়া, বাতিকগ্রস্ততা, কোন কিছু বারবার পরীক্ষা ( check) করা হলো এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
এছাড়াও আর একটি অসুখ hysteria ও neurotic Illness এর মধ্যে পড়ে। গ্রামেগঞ্জে যার সাধারণ কলকালে ভুতে ধরা ভর হওয়া নামে খ্যাত।
Psychotic Illness এর মধ্যে প্রধানত আসে সিজোফ্রেনিয়া। যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সন্দেহপ্রবণতা, অতিরিক্ত রাগ ,একা একা কথা বলা বা বিড়বিড় করা, অস্বাভাবিক ব্যবহার, বিভিন্ন রকমের অঙ্গভঙ্গি করা, রাতে ঘুম না হওয়া ইত্যাদি।
এছাড়া বয়স্কদের মধ্যে প্রধানত দেখা যায় ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশতার সমস্যা। ভুলে যাওয়া, লোকজনকে চিনতে না পারা, মনে রাখতে না পারা, রেগে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি হল ডিমেনশিয়া প্রধান বৈশিষ্ট্য।
এছাড়াও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কিছু মানসিক সমস্যা দেখা যায় যেমন অতিরিক্ত চঞ্চলতা, পড়াশোনায় অনীহা, অতিরিক্ত রাগ,
Internet বা game addiction। বর্তমানের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ওষুধের দ্বারা উপরোক্ত সকল রোগ গুলোর ক্ষেত্রে চিকিৎসা করলে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
Dr. Sagnik Mukherjee is a highly regarded psychiatrist in Kolkata, bringing over a decade of experience in mental health to his practice. With a medical degree from Chittaranjan Hospital and an MD in psychiatry, his expertise spans adult psychiatry, geriatric psychiatry, child psychiatry, depression, anxiety-related disorders, and relationship issues. He has built a strong professional foundation, having worked at esteemed institutions such as Chittaranjan Hospital, SVS Medical College & Hospital, KPC Medical College, and Iris Hospital. His clinic is known for its advanced technology and state-of-the-art infrastructure, providing personalised mental health care, including medication management, individual and group therapy, and specialised services for substance abuse and eating disorders. His holistic approach takes into account lifestyle, diet, environment, and family dynamics when creating effective treatment plans. Additionally, he’s a respected TV speaker on social issues and offers online consultations for patient convenience, making him a trusted figure in the field of psychiatry in Kolkata.